ফোকাস নিউজ:: সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সিসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম, আরিফুল হক চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িঁয়েছেন।
সেলিম নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ কিন্তুু শেষ পর্যন্ত তিনি তার অবস্থানে অটল থাকতে পারেননি। বৃহস্পতিবার তিনি সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। এসময় সেলিম বলেন, ‘বিএনপি আমার রক্তে, আমার শিরায় শিরায়। কাল যখন তারা আমার বাসায় এসে অনুরোধ করেছেন, সেটি আমি ফেলতে পারিনি। তাই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’ তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করারও ঘোষণা দেন।
দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিমকে শেষ পর্যন্ত ম্যানেইজ করতে পেরে বিএনপি এখন অনেকটা আশাবাদী হয়ে ওঠেছে। তারা এখন মনে করছে শেষ পর্যন্ত জামায়াতের মন তারা জয় করতে সক্ষম হবে। আর সেজন্য জামায়াতকে নির্বাচন থেকে সরাতে নতুন করে চলছে জোর প্রচেষ্টা।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘জামায়াত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।’
অন্যদিকে জামায়াতের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নির্বাচন থেকে সরে দাড়াঁবার কোন লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। জুবায়ের সমর্থকরা নগর জুড়ে সমান তালে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেট মহানগর জামায়াতের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বিএনপির সাথে আমাদের জোট জাতীয় নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে নয়। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদসহ স্থানীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারনায় জামায়াতের বিরুদ্ধে বিষেদ্গার করে চলছেন। এ বিষয়গুলোও আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সুতরাং সিসিক নির্বাচনে আমরা আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।”
‘সুজন’ সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ” আমি মনে করিনা জামায়াতের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সিসিক নির্বাচন থেকে সরে আসবে। আপনি জানেন জামায়াত বর্তমানে বিধ্বস্ত একটি দল। তারা গত একমাস আগেও সভা-সমাবেশ করাতো দূরের কথা বাসা-বাড়িতে একটি বৈঠক পর্যন্ত করতে পারেনি। অথচ এখন তারা সমান তালে মিছিল-মিটিং করতে পারছে। তাদের অবস্থান, তাদের শক্তি জানান দেবার এই নির্বাচন একটি বড় সুযোগ।”
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা তাদের মতে, সেলিমের পর জামায়াতের জুবায়ের নির্বাচন থেকে সরে আসবেন কি না এটা জানতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দিতা হয় ‘নৌকা’ এবং ‘ধানের শীষের’ মধ্যে তাই শেষ পর্যন্ত যদি ২০ দলের আন্দোলন ‘নৌকা ঠেকাও’ হয়ে যায় তবে জামায়াত তাদের প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিতে পারে। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী সরে আসার কোন কারন আপাতত: দেখা যাচ্ছেনা। জামায়াতের প্রার্থী এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের বক্তব্য জানতে তাঁর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি
Leave a Reply