ফোকাস নিউজ:: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রচারণার বাঁশি থমকে যাচ্ছে আজ শনিবার মধ্যরাতে। কিন্তু এর আগে শেষমুহূর্তের প্রচারণায় তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে মেয়র প্রার্থীদের ঘুম হারাম হওয়ার মতো অবস্থা। দিনরাত এক করে নগরী চষে বেড়াচ্ছেন তারা। নিজের পাল্লা ভারি করতে শেষবেলায়ও ব্যাপক তৎপর তারা।
আগামী সোমবার সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬২ জন। সবমিলিয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ে আছেন ১৯৫ প্রার্থী।
গত ১০ জুলাই থেকে এসব প্রার্থী প্রচারণা শুরু করেন। পাড়া-মহল্লায় ছুটে বেড়িয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের ভোটার, সাধারণ নগরবাসী সবার দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন প্রার্থীরা। তাদের প্রচারণায় এতোদিন নগরী গমগম করেছে। প্রচারণায় কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছিলেন নিজের ওয়ার্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু মেয়র প্রার্থীরা পুরো নগরী চষে বেড়িয়েছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী প্রচারণার সর্বাগ্রে ছিলেন। নগরীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে গেল কয়দিন। এই তৎপরতা থাকবে আজ শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত। এরপর নির্বাচনের আচরণবিধি অনুসারে থমকে যাবে সকল প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। তবে নির্বাচন কমিশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণায় ব্যস্ত থাকবেন প্রার্থীরা।
শুক্রবার সকাল থেকেই প্রচারণার মাঠে সক্রিয় ছিলেন সকল প্রার্থী। জুমআর নামাজের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর আনাচে-কানাচে ছুটে যেতে থাকেন তারা। তাদের প্রচারণা, গণসংযোগ চলে গভীর রাত অবধি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরান কাল নগরীর শেখঘাট ও চালিবন্দর এলাকায় গণসংযোগ করেন। কামরানের পক্ষে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক আমিন উদ্দিন ও ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগীয় আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাক আহমদ নগরীর ঝালোপাড়া, ছড়ারপাড়সহ আশপাশ এলাকায় প্রচারণা চালান। বিএনপির প্রার্থী আরিফ উপশহর, হাদারপাড়, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, দরগাহ গেইট প্রভৃতি এলাকায় প্রচারণা চালান। আজ শনিবার পথসভা ও মিছিলে ব্যস্ত সময় কাটাবেন প্রার্থীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানিয়েছেন, প্রচারণার শেষদিন হিসেবে আজ বড় আকারের শোডাউন করার পরিকল্পনা করেছেন তারা।
এদিকে সিসিক নির্বাচন উপলক্ষে বহিরাগতদের নগরী ছাড়তে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ইসি। এই নির্দেশনা মেনে অনেক বহিরাগত মানুষ কাল নগরী ছেড়ে চলে যান। এমনকি নগরীর হোটেল-মোটেলে কোন বুকিংও নেয়া হয়নি।
জিন্দাবাজারস্থ হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত বলেন, ইসির নির্দেশনা থাকায় আমরা নতুন করে বুকিং নেইনি। নির্বাচনের পরে আর বুকিং নেয়া হবে।
Leave a Reply