আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনা রাজ্য দুটিতে আঘাত হানার পর রোববার ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ইতোমধ্যেই কয়েক ডজন লোকালয় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সেখানে এখন ‘মহাকাব্যিক’ বৃষ্টিপাতের বিষয়ে শঙ্কিত কর্তৃপক্ষ।
রোববার ঘূর্ণিঝড়টি মার্কিন ভূখণ্ডের গভীরে প্রবেশ করায় তা দুর্বল হয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফ্লোরেন্সের প্রভাবে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অন্তত আট জন নিহত হয়েছেন। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
নর্থ ক্যারোলিনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যুর বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পেরেছনে এবং আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছেন। সাউথ ক্যারোলিনার কর্তৃপক্ষ একজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
ম্যারিল্যান্ডের আবহাওয়াবিদ জ্যাক টেলর বলেন, ‘এটা এখনও বিপর্যয়কারী, জীবননাশা ঝড়।’
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-আটলান্টিক উপকূল বরাবর ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। রোববার ভোরে ঝড়টি দুই রাজ্যের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৯ মাইল গতিতে পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
টেলর জানান, ঝড়ের প্রভাবে নর্থ ক্যারোলিনার বিভিন্ন জায়গায় ইতোমধ্যেই ৩০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার বলেন, ‘ঝড়টি মহাকাব্যিক পরিমাণে বৃষ্টি নিয়ে এসছে। কয়েক জায়গায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ফিট হিসেবে মাপতে হচ্ছে, ইঞ্চিতে নয়।’
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন নদীর পানির উচ্চতা বাড়তেই থাকবে বলে জানান তিনি।
ঝড়ে বিধ্বস্ত রাজ্যগুলোতে রাস্তাঘাট বন্ধ রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সেখানে ভূমিধস, টর্নেডো, এবং আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
শনিবার পর্যন্ত নর্থ ক্যারোলিনায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার এবং সাউথ ক্যারোলিনায় ১ এক লাখ ১৯ হাজার বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন ছিল।
Leave a Reply