ফোকাস ডেস্ক:: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাত দফা দাবি আদায়ে গঠন করা ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের’ প্রথম কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেট সফরে যাবে তারা। তবে বিভাগীয় শহরটিতে কী করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ঐক্য গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার তিন দিন পর মঙ্গলবার শরিক নেতাদের একজন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গত ১৩ অক্টোবর বিএনপি, কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য মিলে গঠন হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেদিন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ মোট সাতটি দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যের ঘোষণা দেন নেতারা।
এসব দাবি বিএনপি গত কয়েক বছর ধরেই জানিয়ে আসছে। তবে ভ্রুক্ষেপ নেই সরকারের। তবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করেন, তাদের গড়া ঐক্য সরকারকে চাপে ফেলতে সক্ষম হবে।
দাবি আদায়ে কী কর্মসূচি নেয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বেলা সোয়া বারটায় আ স ম রবের উত্তরার বাসায় বসে বৈঠক। যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির আব্দুল মালেক রতন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন স্বপন, তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
বৈঠকের পর কর্মসূচি ঘোষণা করেন রব। জানান, বৈঠকে লিঁয়াজো কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল আবারও বৈঠক হবে এবং সে বৈঠক শেষে কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।
সিলেট সফরের কর্মসূচি ঘোষণা করে জেএসডি নেতা বলেন, ‘সিলেটের পর চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ সকল বিভাগ ও মহানগর পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি দেওয়া হবে। এছাড়া জেলা পর্যায়েও কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।’
সিলেট সফরে কী কর্মসূচি থাকবে- এমন প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘প্রথমে মাজার জিয়ারত, এরপর জনসভা হবে। এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির বিষয়ে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।’
ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলেও আশা করেন রব। বরং সরকারের সহযোগিতাও চান তিনি।
Leave a Reply