সুমন আহমেদ গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:: টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের কারনে গোয়াইনঘাটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন রাস্তার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২৫০ শতাধিক গ্রামের মানুষ।
গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টি ও সারী এবং পিয়ান নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার সর্বত্র এলাকা তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে রুস্তমপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের এলাকা বগাইয়া হাওর ছড়ার পার,দমদমদ হাওর, ভিতরগুল,জারিখাল হাওর,হাদারবিল গ্রামসহ অধিকাংশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া গোয়াইনঘাটের ডৌবাড়ী, পশ্চিম জাফলং, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দিরগাঁও এবং ফতেপুর ইউনিয়নের একাংশসহ বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে দেশের বৃহত্তম বিছনাকান্দি ও জাফলং পাথর কোয়ারী দুটি বন্ধ থাকায় লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
তাছাড়া রোপা আউশ ও বোনা আমন ক্ষেত সম্পন্ন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে রুস্তমপুর ইউনিয়নবাসীর। এতে কৃষকরা অজানা আতংকে রয়েছেন। অপরদিকে কয়েক শতাধিক মৎস খামার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে-গোয়াইনঘাটের বগাইয়া হাওর, দমদমা ও ভিতরগুল সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠায় উপজেলা জেলা সদর ও বাজার হাটের সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঘরমুখো মানুষ কষ্ঠ করে পায়ে হেটে বাড়ীতে ফিরছেন। যাত্রীবাহী কোন যান বাহন চলাচল করতে পারেনি। মালবাহী দু’একটি বাহন ঝুঁকি নিয়ে পানির মধ্যে চলাচল করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বিজিৎ কুমার পাল জানান, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক খোঁজ নিচ্ছি। এছাড়া প্রয়োজনীয় ত্রান সামগ্রী হাতে পৌছেছে। প্রতি ইউনিয়নে একটন কওে চাল দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও দেওয়া হবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী জানান, সোমবার সকাল ১০ টা থেকে উপজেলায় বন্যায় কবলিত বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেন। উপজেলার কিছু এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জি.আর চাল বিতরণ করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী জানান বন্যা কবলিতদেও মাঝে ইতিমধ্যে ত্রান বিতরন করেছি এবং বিতরন অব্যাহত থাকবে।
রুস্তমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দীন শিহাব জানান, ইতি মধ্যে কিছু এলাকায় ত্রান বিতরন করা হয়েছে। ত্রানের জন্য আবেদন করা হয়েছে।ত্রন আসলে দুএক দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
Leave a Reply