মৃন্ময় দাস ঝুটন :: সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।।এর সুনাম আজ দেশকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বুকেও ছড়িয়ে পড়েছে।।এর পেছনে আছে একজন ব্যক্তির নিঃস্বার্থ ভালবাসা ও পরিশ্রম।।২০১৭ সালের ১৭ আগষ্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই উনি দিনরাত পরিশ্রম করে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন আমার প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে।।তিনি শুরু থেকেই জোড় দেন যাতে কোন ছাত্রছাত্রীদের সেশনজটের কারণে একদিনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি সময় কাটাতে না হয়।।সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া,সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশে জোড় দেন।।গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য নানারকম প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন।।ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে উন্নতমানের করে গড়ে তুলেন।।অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১২০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট চলমান আছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে বাউন্ডারি যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্ভব হয় নি তা তিনি বাস্তবায়ন করেছেন।।করোনার সময় ছাত্রছাত্রীদের নানারকম প্রণোদনা ও অনলাইন ক্লাসে সহযোগিতার জন্য ইন্টারনেট সেবা, মোবাইল ফোন ও আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।।বৃহত্তর সিলেটের মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার ল্যাব স্থাপন করেন, যেখানে ওসমানীর ল্যাব হিমশিম খেতে হচ্ছে করোনার টেস্ট করতে সেখানে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সুনাম কুড়িয়েছে।। ছাত্রছাত্রীদের আবাসন সুবিধার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।। পঙ্গু ও অসহায় ছাত্রদের জন্য আবাসিক হলে আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।।আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দুর্নীতির বিন্দুমাত্র ছোয়া ব্যতিত সকল অবকাঠামোর কাজ চলমান আছে যা বাইরের অডিট এসে প্রশংসা করে গেছেন এবং এক পয়সার কোন গড়মিল পান নি।।
মানবিক দিকেও স্যারের কোন তুলনা নেই।। শাবিপ্রবির কোন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হলে উনার সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি যত দ্রুতসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।।করোনার কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীর পরিবার অসহায় হয়ে পড়ার কারণে ক্রেডিট ফি ও পরীক্ষার ফি পরবর্তীতে প্রদান করেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।।গরিব ও অসহায় ছাত্রছাত্রীদের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনার পরিচালকের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন।।শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা, ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা,বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করে সবাইকে সাথে নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।।সিটি কর্পোরেশন এর সকল সুবিধা যাতে বিশ্ববিদ্যালয় পায় এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সিটি কর্পোরেশন এর আওতাভুক্ত করার জন্য উনার পরিশ্রম অব্যাহত আছে।।ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য সারা ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করেছেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১০০% স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন।।
একজন উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারাটাই পালটে দিয়েছেন।।উনি দেখিয়ে দিয়েছেন অদম্য ইচ্ছা ও দক্ষতা, স্বচ্ছতা থাকলে সকল বাধা উপেক্ষা করেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নয়নের চূড়ান্ত শিখরে পৌছানো যায়।।
স্যারের এই কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুপারিশে মাননীয় রাষ্ট্রপতি উনাকে পুনরায় উপাচার্য নিয়োগ করেছেন।।
সকলের(ছাত্রছাত্রী,শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী) সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্যারের নেতৃত্বে এগিয়ে যাক প্রাণের শাবিপ্রবি।।
Leave a Reply