ফোকাস ডেস্ক:: ‘ডিএমপির ২২ শর্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৩০ সেপ্টেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি। কারাবন্দি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ৩ ঘণ্টার সমাবেশ স্মরণকালের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
দলটির সিনিয়র ও তৃণমূল নেতাদের দাবি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেই সমাবেশ পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বিএনপি গড়েছে দলীয় নতুন রেকর্ড। খালেদা জিয়ার সম্মানে মঞ্চে খালি রাখা হয় প্রধান অতিথির চেয়ার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। রাজধানীসহ দেশের যে কোনো জায়গায় বড় ধরনের সভা-সমাবেশ করার মত যথেষ্ট শক্তি-সমর্থন আছে তাদের। ৩০ সেপ্টেম্বরের জনসভা তারই প্রমাণ।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, দীর্ঘ দিন পর এরকম কর্মসূচিতে তারা বেশ উজ্জীবিত। এই উদ্দীপনা আরো জোরালো করে আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। নেতারা জানান, বিএনপি এখন সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ ও পূর্ণ শক্তিশালী। সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করার মতো কর্মসূচি দেয়ার সময় এখন এসে গেছে।
দলটির একাধিক সিনিয়র ও দায়িত্বশীল নেতা ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, সমাবেশের জনস্রোত দেখে ক্ষমাতসীন আওয়ামী লীগ চিন্তিত। ক্ষমতাসীনরা বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে আবোল-তাবোল বকছেন। ৩ ঘণ্টার সমাবেশই প্রামাণ করে দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছে। বিএনপি ভেসে আসা কোনো দল নয়। শক্তি ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সরকারের নানা নির্যাতনে প্রতিনিয়ত ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছে বিএনপি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির যে সক্ষমতা ও কর্মী-সমর্থক রয়েছে তাতে যেকোনো সময় জনসভা করা কঠিন কিছু নয়। দীর্ঘ দিন পর এককভাবে জনসভা করে তারা দেখাতে চাইছে, বিএনপি কারো ওপর নির্ভরশীল নয়। সেটিও প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের জনসভার পর দলের নেতাকর্মীরা এখন চাঙ্গা। আর এখন থেকে চাঙ্গাভাব ধরে রাখতে, বিএনপি যা করার তার সবকিছুই করবে। উপযুক্ত সময়ে দেবে জোরালো কর্মসূচি।
ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নেতাকর্মীরা সব সময় উজ্জীবিত। তবে ওই জনসভার পর আরো বেশি উজ্জীবিত বিএনপি। সরকার ওই সমাবেশ দেখে ভীত সন্ত্রস্ত। তারা এতো বাধা দিয়েও জনতার স্রোত ঠেকাতে পারেনি।
গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের জনসভা প্রমাণ করেছে বিএনপি আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। যেকোনো সময় যেকোনো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত দলটি।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বিএনপির ওই জনসভা প্রমাণ করেছে, তাদের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন সরকারের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করছে। তাদের সঙ্গে যে জনসমর্থন রয়েছে সেটিও প্রমাণ হয়েছে। শক্তি থাকা সত্ত্বেও বিএনপি তা এতদিন প্রদর্শন করেনি। সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির সফলতা এসেছে বলে মনে করেন এরশাদের সাবেক এই নেতা। তিনি বিশ্বাস করেন, নেতাকর্মীদের মনোবল বা সাহস বেড়েছে দ্বিগুণ।
Leave a Reply