ফোকাস ডেস্ক :: ঢাকায় শুরু হওয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আগুন সিলেটসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনের ৫ম দিনে সিলেটেও এসে লেগেছে তার ঢেউ।
বৃহস্পতিবার সিলেটের স্কুল কলেজের কয়েকহাজার শিক্ষার্থী ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে মিছিল করতে করতে এসে জড়ো হয় নগরীর চৌহাট্টস্থ কেন্দ্রীয় শহীদমিনারের সামনের রাস্তায়।
তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শ্লোগান দিতে দিতে সেখানে অবস্থান গ্রহন করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
তারা সেখানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষোভ মিছিলটি মদীনা মার্কেট হয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে শাবি শিক্ষার্থীরা নৌপরিবহণ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। তারা বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীর লাশের সংবাদ পেয়ে যে মন্ত্রী দাঁত কেলিয়ে হাসতে পারেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভায় তেমন মন্ত্রী মানায়না। এছাড়া ঘটনার ৪দিন পর শিক্ষামন্ত্রীর শোক প্রকাশেরও সমালোচানা করেন তারা।
এদিকে দুপুর ২টার পর নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজপথে শিক্ষার্থীর ঢল নামে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে গলা ফাটাতে ফাটাতে তারা জড়ো হন চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে।
এ সময় তারা ৯ দফা দাবি দাওয়া সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে। এই দফাগুলোর প্রথম দিকেই রয়েছে নৌপরিবহণ মন্ত্রী মো. শাজাহানের পদত্যাগ। এছাড়া অন্যান্য দাবি দাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা, দোষী চালক-মালিকদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা ইত্যাদি।
রাজধানী ঢাকার মতো সিলেটেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছেন সাাধারণ মানুষ। ছাত্র-ছাত্রীরা যখন মিছিল সহকারে শহীদমিনারের দিকে যাচ্ছিল, তখন রাস্তায় দাঁড়ানো রিকশার যাত্রী, বিভিন্ন মার্কেট শপিং মলের সামনে জড়ো হওয়া সাধারণ মানুষ হাততালি ও মিছিল দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাদিক হাসান (১৭) সিলেটভিউকে বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে যে মন্ত্রী দাঁত কেলিয়ে হাসতে পারেন, সেই নিষ্ঠুর নির্লজ্জ মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। ছাত্ররা যে কত বড় শক্তি শিক্ষার্থীরা তা পুলিশ এবং রাজনীতিবিদদের দেখিয়ে দিয়েছে। যে পুলিশ আন্দোলন দমানোর নামে লাঠিচার্জ করে অনেক কিশোর কিশোরীকে আহত করেছে, শিক্ষার্থীরা তাদেরও শিক্ষা দিতে পারছে। আমরা এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত অব্যাহত রাখবো। আমরা দেশের সবকিছু শৃঙখলায় আনতে চাই। আমরা শান্তি চাই, শৃঙখলা চাই।
Leave a Reply